• Home
  • About us
    • Constitution
    • Theme Song
  • Photo Gallery
  • News
    • News
    • Press Relase
    • Press secretary
  • Organization
    • Central Commitee
      • Presidium member
      • Advisory council
      • Vice Chairman
      • Joint secretary
      • Organizational secretary
      • Divisional Secretary
      • Joint oraganizational secretary
      • Joint Divitional Secretary
      • Executive Member
    • Sub-Organization
  • Central Office
    • Central Office
    • Chairman Office
Chairman corner
  • Biograpy
  • Speech of the president
  • Article of president
  • Media conferences
  • 9 years achivement progress
  • Poem
  • Song
Main Menu
  • Home
  • News
  • Citizen chatter
  • Bangladesh constitution
  • Federal Government
  • National News Paper
  • Book of Ershad
  • Video
  • Contact us
Home Article of president

প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই মনে হয় নির্বাচনী ভাবনায় পেয়ে বসেছে। এটাই স্বাভাবিক। সামনে সময় নেই। মাত্র দেড় বছর। আমিও যেমন ভাবছি, অন্যরাও হয়তো তেমন। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের মধ্যেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এক অন্যরকম প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। নেতারা সতেজ হয়ে ওঠেন। কর্মীরাও। পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ডের হিসাব-নিকাশ বুঝে নেবার পালা সামনে।
নির্বাচন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপাদান। কীভাবে এই উপাদানকে ব্যবহার করবো? শানি-র পথে? না, সংঘাতে? সত্যিকারের গণরায়ের প্রতিফলন ঘটবে তো নির্বাচনে? অনেক প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে। কীভাবে নির্বাচন হবে? জোটগত? নাকি যার যার তার তার মতো? আমি কী করতে পারি? অনেকেই সে অংক কষেন। সরকারি দল বিরোধী দল উভয়েই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও। আমি কী করবো- সে হিসাব নিজেও করি। কীভাবে নির্বাচন করবো? জোটগত, না একক? দেখা যাক পর্যালোচকরা কী ভাবেন।
কলামিস্ট আবেদ খান। তিনি আমাকে পছন্দ করেন না। তাঁর লেখায় অন-ত সেটাই মনে হয়। হয়তো ব্যক্তিগতভাবে নয়। পেশাগত দিক থেকে। যে দিক থেকেই হোক, তিনি আমাকে পছন্দ করুন আর না-ই করুন- আমি সেদিকে দৃষ্টি দিতে চাই না। আমি তাঁকে পছন্দ করি। ভালো লেখক। গুণীজনকে ভালোবাসি। শ্রদ্ধা করি। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন আমার স্বভাবের প্রধান অংশ। সমপ্রতি তিনি এক নিবন্ধে লিখেছেন- আমার সামনে ইকুয়েশন একাধিক। আমি বলি, না। একাধিক নয়। রাজনীতিতেও অংকের মতো হিসাব আছে। হিসাবে না পড়লে কোনো ইকুয়েশনে কাজ হয় না। জনগণের তো অনেক দেখা হলো। এবার তারাও হিসাব মিলাবে। কলামিস্ট বলেছেন- আমার সামনে সাতটি রাস-া। যেমন এক, আমি বিএনপির সাথে সমঝোতায় যেতে পারি। দুই, বিএনপি-জামায়াত জোটের সাথে এককভাবে সমঝোতা করতে পারি। তিন, আমি জামায়াতের সাথে এককভাবে সমঝোতা করতে পারি। চার, আমি রব, কাদের সিদ্দিকী, ছোট ছোট ইসলামী দল নিয়ে একটা প্লাটফর্ম করতে পারি। পাঁচ, কামাল, বি. চৌধরী, কাদের সিদ্দিকী এবং আমি একসঙ্গে মিলে একটা জোট গঠন করতে পারি। ছয়, আমি আওয়ামী লীগের সাথে একক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি। সাত, আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বৃহত্তর জোটের সঙ্গে একত্র হয়ে আগামী আন্দোলন ও নির্বাচনের রূপরেখায় অংশ নিতে পারি। এর মধ্যে আমি কোনটা বেছে নেবো?
জ্ঞানী-গুণীজনের চিন-া-ভাবনাকে আমি উপেক্ষা করতে পারি না। তাই এই ভাবনাটা আমি জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। দেখতে চেয়েছি তারা কী ভাবেন। জনগণের জন্য আমি রাজনীতি করি। তারাও এখন অনেক সচেতন। পোড় খেয়ে শিখেছে। দলের নেতা-কর্মীরাও হিসাব-নিকাশ করেন। কিছুদিন আগে ময়মনসিংহে আমার দলের জেলা কাউন্সিল ছিলো। তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা এসেছিলেন। খুব সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি তারা। এরা সাধারণের মনোভাব জানেন। কলামিস্টের সাতটি ইকুয়েশন তুলে ধরেছিলাম তাদের সামনে। তারা মানলেন না। আমার হিসাবের সাথে তাদের হিসাবও মিলে গেলো। আমার ছিলো একটি পথের হিসাব। সেই হিসাবই ওরা গ্রহণ করলো। সে কথায় পরে আসি।
কেনো গ্রহণ করলাম না সাতটি হিসাবের একটিও। বলতে চাই সে কথা। এক, বিএনপিকে জনগণ এবার নতুন করে দেখলো না। তারা একাধিকবার ক্ষমতায় এসেছে। ভোটের হিসাব যেভাবেই করা হোক না কেনো, তা তাদের টিকে থাকার বড় মানদণ্ড নয়। তাদের সাফল্যের ব্যারোমিটার শুধু নামছেই আর নামছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক যাত্রায় যে সাফল্য ও জনপ্রিয়তা ছিলো- তা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়নি। যদিও এই দল তিনবার ক্ষমতায় আরোহণ করেছে। কিন' জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সফলকাম হতে পারেনি একবারও। অন্য একটি দলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের ফসল তারা ঘরে তুলেছে বারবার। সেই সাথে মাত্র একবার বাদে জামায়াতের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিএনপিই ভোগ করেছে। ১৯৭৯ সালে বিএনপি প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেবার প্রদত্ত ভোটের ৪১.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে ২০৭টি আসন লাভ করে। জামায়াত ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। মুসলিম লীগ বা অন্য কোনো ইসলামী দলের প্রতীকে তাদের ভোট পড়েনি। তাদের ভোট পড়েছে ধানের শীষে। বিএনপি-জামায়াত আত্মীয়তা ওখান থেকেই। জিয়াউর রহমান সাহেবের কাছ থেকে জামায়াত রাজনীতি করার সুযোগ লাভ করেছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের মনে ওই দল অচ্ছুতের মতো হওয়ায় দহরম-মহরমটা প্রকাশ্যে ঘটেনি। এরপর ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সিক্ত এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তি জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সমবেত হয়। ফলে জাতীয় পার্টি মোট প্রদত্ত ভোটের ৪২.৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদের ১৫৩টি আসন লাভ করে। সত্য স্বীকারে আমার কার্পণ্য নেই যে, ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে জাতীয় পার্টি সরকার গঠনের মতো আসন লাভ হয়তো করতে পারতো না। অর্থাৎ জাতীয়তাবাদী শক্তির ভোট ভাগ হয়ে যেতো। ওই নির্বাচনে জামায়াত ৪.৬০ শতাংশ ভোট লাভ করে এবং এটাই তাদের শক্তির মাপকাঠি। বাকি নির্বাচনগুলোতে জামায়াত ভোট ধার দিয়েছে আবার ধার নিয়েছে। এই দেয়া-নেয়ার মধ্যে তাদের প্রাপ্ত ভোট বেড়েছে-কমেছে। সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি ভোট পেয়েছে ৪০.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে জামায়াতের ভোট আছে। আবার জামায়াত ভোট পেয়েছে ৪.২৯ শতাংশ। এর মধ্যেও বিএনপির ভোট আছে। এই ভোট পেয়েই তারা আসন পেয়েছে ১৭টি। অথচ এর আগের নির্বাচনে জামায়াত ৮.৬১ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পেয়েছিলো মাত্র ৩টি। এই নির্বাচনে জামায়াত আঞ্চলিকভাবে আওয়ামী লীগ ঠেকাও মনোভাবের কারণে বিএনপির বেশ কিছু ভোট পেয়েছে। তবে জামায়াত তাদের শক্তি সামর্থ্য দেখানোর জন্য নিজেদের ভোট নিজেদের ঘরেই নিয়েছে এবং গোলাম আজমকে কারারুদ্ধ করার প্রতিশোধ নিয়েছে। এই মধুর প্রতিশোধের মধ্য দিয়েই বিএনপি-জামায়াত সখ্য আরো মজবুত হয়েছে। তবে ক্ষতি যা হবার তা হয়েছে বিএনপিরই। এই দুই দলের পরিচালিত সরকারের ব্যর্থতা অতীতের যে কোনো ব্যর্থতার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হচ্ছে বিএনপিকে। এখান থেকে তাদের ভাবমূর্তির উত্তরণ ঘটাতে হলে দলীয় নীতিতে সংস্কার  আনতে হবে। জনকল্যাণধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। একটি আদর্শ ঐক্য গড়ে উঠতে পারে কর্মসূচির ভিত্তিতে। সে ধরনের কর্মসূচি এবং বাস-বমুখী প্রতিশ্রুতি যদি বিএনপি জাতির সামনে উপস'াপন করতে পারে তাহলে জনগণই নির্ধারণ করে দেবে আমি কী করতে পারি। কিন' বিএনপি কতটুকু কী করতে পারবে তা নিয়ে তো যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
দুই, একটি রাজনৈতিক দলের সফলতা নির্ণয়ের অন্যতম মাপকাঠি ক্ষমতায় আরোহণ। সেদিক থেকে বিএনপি একটি সৌভাগ্যের রাজনৈতিক দল। নেতিবাচক ভোটের ফসল তারাই ভোগ করেছে বরাবর। তবে সেই সৌভাগ্যকে এবার অপবিত্র করে দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। এক সময় কুলিনরা নিম্নবর্ণের মানুষদের দিয়ে কাজ করাতো, কিন' ঘরে উঠতে দিতো না। তাহলে তাদের পবিত্রতা নষ্ট হতো। সে রকমই বিএনপি বিগত ১৯৭৯-১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতকে কাজে লাগিয়েছে। কিন' ঘরে তুলে নেয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াত আঙ্গিনা-বারান্দা মাড়িয়ে বিএনপির ঘরে ঢুকে পড়েছে। ফলে তারা জাতে উঠেছে, কিন' ইজ্জত হারিয়েছে বিএনপি। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি তাদের হৃতগৌরব উদ্ধারে কী ব্যবস'া গ্রহণ করবে- সেটাই এখন জনগণের পর্যবেক্ষণের বিষয়। দেশবাসী যা গ্রহণ করবে আমি সেটাকেই মেনে নেবো।
তিন, পূর্বের আলোচনার পর বলাই বাহুল্য যে- যাদের সংস্পর্শে গেলে রাজনৈতিক ইজ্জত নষ্ট হয়, সেই জামায়াতের সাথে আমার কোনো ধরনের সমঝোতা হতে পারে না। তবে আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে হেয় চোখে দেখি না। কোনো ব্যক্তির প্রতি আমার বিদ্বেষ নেই। নীতি-আদর্শের সাথে দ্বিমত থাকতে পারে এবং সেটা প্রতিটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। জামায়াতের সাথে মেশা আমার রাজনৈতিক আদর্শের চরম পরিপন'ী।
চতুর্থত যে বলা হয়েছে, আমি রব-কাদের সিদ্দিকী এবং ছোট ছোট ইসলামী দল নিয়ে একটা প্লাটফর্ম করতে পারি। আমি আগেই বলেছি ঐক্য বা জোট গঠন যদি কর্মসূচির ভিত্তিতে হয়- কেবল সে ক্ষেত্রেই সফলতা আসতে পারে। একই মত ও পথের জনগোষ্ঠীর যেমন বিচ্ছিন্ন থাকা উচিত নয়- তেমনি একই নীতি-আদর্শ ও কর্মসূচি বা সংস্কারপন'ীদের বিভক্ত থাকা যুক্তিযুক্ত নয়। সে ক্ষেত্রে কাউকে নিয়ে অভিন্ন প্লাটফর্ম গড়তে হলে সবার আগে অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। তবে বিভিন্ন দলের মধ্যে নীতি-আদর্শের পার্থক্য তো কিছুটা থাকেই। সেখানে আমরা কতটা একমত হতে পারি- সেটাই হতে পারে নতুন প্লাটফর্ম গঠনের প্রথম বিবেচ্য বিষয়। নিজস্ব নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে তো আমি কিছু করতে যাবো না। রাজনীতিতে সমমনা দল থাকতে পারে। কিংবা বন্ধু রাজনৈতিক দলও থাকে। যে যার নিজস্ব অসি-ত্ব এবং সত্তা নিয়ে অবস'ান করবে। নির্বাচনে জনগণই তাদের প্রকৃত বন্ধুকে বেছে নেবে। জনতার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোই  আমাদের  লক্ষ্য।  পঞ্চমত ড: কামাল এবং বি. চৌধুরীকে নিয়ে আমার জোট গঠনের কথা বলা হয়েছে। তাতে আমার জাতীয় পার্টি যে খুব লাভবান হবে তা নয়। সে বিবেচনায় আমার পূর্বের আলোচনাই এখানে প্রযোজ্য।
ষষ্ঠত বলা হয়েছে, আমি আওয়ামী লীগের সাথে এককভাবে সমঝোতায় যেতে পারি। যা আদৌ সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আমি যে প্রতিদান পেয়েছি, সেটা ভুলে যেতে চাইলেও ভোলা যেতে পারে। কিন' নীতি ও আদর্শের সাথে আপস করা হলে জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপির আদর্শের পতনের প্রেক্ষাপটে সত্যিকার ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিয়ে জাতীয় পার্টির সৃষ্টি। সে সঙ্গে আমার সাথে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সমন্বয়। এই ধারা বিএনপির সাথে এক হতে পারে না। কারণ তাদের সাথে রয়েছে এমন একটি শক্তি যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেই ক্ষান- হয়নি, আজ পর্যন- তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনাও করতে চায় না। আবার আওয়ামী লীগের বিপরীত ধারায় রাজনীতি করে তাদের সাথে সমঝোতা করতে গেলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিই ক্ষতিগ্রস- হবে। একটি কথা আমি সব সময়ই স্পষ্ট করে বলি যে, আমি আদর্শের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। প্রচলিত রাজনীতির বিপরীতে আধুনিক চিন-া-চেতনার সমন্বয়ে সংস্কারের নীতি নিয়েই আমার চলার পথ। আমার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে কিংবা সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করে- সেই চলার পথে কেউ সাথী হতে পারে। আমি কোনো ধরনের স্বার্থের সাথে আপস করে চলতে পারি না।
বিশ্লেষক শেষ ইকুয়েশন হিসেবে বলেছেন- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বৃহত্তর জোটের সঙ্গে একত্র হয়ে আমি আন্দোলন ও নির্বাচনের রূপরেখায় অংশ নিতে পারি। এ প্রসঙ্গে আমার স্পষ্ট কথা যে, স্বাধীনতার ৩৪ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির কথা বলে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা ঠিক নয়। স্বাধীনতার বিপক্ষে যে শক্তিটি ছিলো তারা এখনো চিহ্নিত। তাদের সংখ্যা নগণ্য। এরা বদলায়নি। বংশবৃদ্ধিতে কিছু সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে- শতাংশের তেমন পরিবর্তন হয়নি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তারা ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিলো। সেই শতাংশে কিছু যোগ-বিয়োগ হয়েছে। তেমন কোনো তারতম্য হয়নি। বাকি গোটা দেশের মানুষই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি। গণতান্ত্রিক ব্যবস'ার কারণে রাজনীতির বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই শক্তি ভাগ ভাগ অবস'ায় থাকতে পারে। তাই বলে যারা আওয়ামী পক্ষে নেই, তাদের ঢালাওভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বলা যায় না। জাতীয় পার্টি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত একটি দল। জাতির বৃহৎ কল্যাণে আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে পারি। তার জন্য বাকশালের মতো সকল দলের একীভূত হবার তো প্রয়োজন নেই।
সব ইকুয়েশন পেছনে ফেলে রেখে বলতে চাই- জাতীয় পার্টি নিজস্ব ধারাতেই চলবে। আমি কারো সাথে মিশে নিজের অসি-ত্বকে ম্লান করতে যাবো না। আমার রয়েছে সাফল্যের ইতিহাস। ১৯৯০ সালের পর দীর্ঘ ১৪টি বছর কেটে গেলো। এই সময়ে দেশ ও জাতি সকল ক্ষেত্রে বঞ্চনা ছাড়া আর কিছু উপহার পায়নি। ব্যর্থতা যাদের নিত্যসঙ্গী, তাদের সঙ্গী হয়ে দেশবাসীকে আমি হতাশ করতে পারি না। জনগণের মুুক্তির সংগ্রামে পথে নামবো। সে পথ হয়তো অনেক বন্ধুর- তবুও চলতে হবে মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে। গন-ব্যে পৌঁছাতে হয়তো পারবো- হয়তো নয়। কিন' সৎ উদ্দেশ্য সাধনে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি থাকবে না। সময়ের বাঁকে বাঁকে রাজনীতির ধারায়ও হয়তো কিছুটা পরিবর্তন আসে। কিন' তা দেশ-জাতির স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থে চলে গেলেই বিপত্তি ঘটায়। জাতীয় পার্টি অবশ্যই সেই বিপত্তির পথে অগ্রসর হবে না।

Last Updated (Wednesday, 23 June 2010 10:00)

 


created by CreativeIT lTD.